২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে যুবদল নেতা হৃদয় মিয়া গুরুতর আহত হন। তার করা মামলার ভিত্তিতে ব্যারিস্টার সুমনকে অন্যতম আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হৃদয় মিয়া মিরপুর ১০ নম্বরের সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হৃদয় মিয়া মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন, যেখানে সুমনকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। এই মামলায় সুমনকে ২১ অক্টোবর রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২২ অক্টোবর সকালে ব্যারিস্টার সুমনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম, সুমনের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত এখন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এছাড়াও জানা যায় যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি একটি বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিচ্ছবি ছিল, যেখানে সরকারপন্থী ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনটি তরুণ সমাজ ও ছাত্রদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, সুমনসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মামলাটি বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
Redmi A4 5G: সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক 5G স্মার্টফোন
আইফোন এসই ৪: ডিজাইনে বড় চমক, কী ফিচার থাকছে?