বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১৮ জন জেলেকে অন্যান্য মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনো পাঁচটি ট্রলারসহ আটজন মাঝি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকদের মধ্যে বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি এবং ইউনুছ মাঝি উল্লেখযোগ্য। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ জেলেদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কিছু জেলেকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাঁচটি ট্রলার এবং আটজন মাঝি এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার গভীর সাগরে যায়। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেলের দিকে ট্রলারগুলো ঘাটে ফেরার সময় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর মোহনায় একাধিক ট্রলার ডুবে যায়।
অন্য ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় কিছু জেলেকে উদ্ধার করা হলেও তাদের মাছ ধরার জালসহ ট্রলারগুলো নদীতে তলিয়ে যায়। এখনও মেঘনা নদীতে কয়েকটি ট্রলারের কোনো খোঁজ মেলেনি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন
রোনালদোর ৯০০ গোল উদযাপনের রাতে আল নাসরের ড্র
নেইমার না থাকায় বিবর্ণ ব্রাজিল!