একটি করে ম্যাচ গেলেই ব্রাজিলের আক্রমণভাগের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। গোলের দেখা মিলছে না, প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভয় তৈরি করতে পারছেন না ফরোয়ার্ডরা। ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, রাফিনিয়ারা হলুদ জার্সি গায়ে নামলেই যেন নিজেদের ছায়া হয়ে যান। সমর্থকদের হতাশা যেন আর শেষ হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে উঠে আসে নেইমারের নাম। চোট কাটিয়ে সেরে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি, এবং অনেকে মনে করছেন, নেইমার থাকলে ব্রাজিলের অবস্থা এতটা শোচনীয় হতো না। ফুটবল বিশ্লেষকরাও একমত যে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নেইমারের অভাব অনুভব করছে।
গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে নেইমার বাঁ পায়ের লিগামেন্টে চোট পান, এরপর তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। এখনো তিনি সেরে ওঠার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কবে মাঠে ফিরবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে তাঁর ক্লাব আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুস জানিয়েছেন, ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে নভেম্বরের আগে পাওয়া যাবে না।
সম্ভবত বছরের শেষদিকে নেইমার মাঠে ফিরতে পারেন। যদিও আল হিলাল নেইমারের অনুপস্থিতিতে সেভাবে ভুগেনি, লিগসহ তিনটি শিরোপা জিতেছে তারা। কিন্তু ব্রাজিলের জন্য নেইমারের অভাব পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কোপা আমেরিকায় ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দল দুর্দশার মধ্যে আছে।
দোরিভাল জুনিয়রের দল আট ম্যাচের চারটিতে হেরেছে। শুধু হারই নয়, খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং খেলার ধরন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দলে এমন একজনের অভাব স্পষ্ট, যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেন—যেমনটা গত এক দশক ধরে করেছেন নেইমার। এমন অবস্থায় কোচ ও খেলোয়াড়রা নেইমারের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। পরশু প্যারাগুয়ের কাছে হারের পর দোরিভাল বলেছিলেন, ‘আমরা সবসময় যোগাযোগ রাখছি, নেইমারের অবস্থা বুঝতে চেষ্টা করছি। তাঁর দ্রুত সেরে ওঠার অপেক্ষায় আছি।’ কিন্তু ডিসেম্বরের শেষদিকে নেইমার ফিরলেও, তার আগে বাছাইপর্বের আরও চারটি ম্যাচ খেলতে হবে ব্রাজিলকে। নেইমার ছাড়া কক্ষপথে ফেরাটা এখন ব্রাজিলের বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের নতুন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম – লাইকবুক
৮ ম্যাচে ৪ হার – বিশ্বকাপের পথ কঠিন ব্রাজিলের জন্য