মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশের আটটি অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন সকালে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য প্রকাশিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থার কারণে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে সমুদ্র বন্দরগুলোর ক্ষেত্রে আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবের ফলে আবহাওয়ায় নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই পূর্বাভাসের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন তারা বৃষ্টির সময় এবং ঝোড়ো হাওয়ার সময় বাইরে অযথা চলাফেরা না করে এবং সতর্ক থাকে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালীন এই ধরনের বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া স্বাভাবিক হলেও তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি এবং সচেতনতা বজায় রাখা জরুরি। কারণ, আকস্মিক ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত জীবনে ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে নদী ও সমুদ্র বন্দরগুলোর সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টিতে নদী ও সমুদ্রপথে চলাচলকারী যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবহাওয়া অফিস থেকে এ ধরনের পূর্বাভাস গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
আরও পড়ুন
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম না থাকায় হতাশা রদ্রিগো
১ দশক পর ইংল্যান্ডকে হারের স্বাদ দিলো শ্রীলঙ্কা