কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে নিজেদের সেরা ফর্মে নেই ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অক্টোবরের আগে টানা চার ম্যাচ হেরে ভিনি-রদ্রিগোদের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

গত মাসে চিলি ও পেরুকে হারিয়ে ছন্দে ফিরেছিল সেলেসাওরা। কিন্তু চলতি মাসে আবারও ছন্দপতন হয়েছে তাদের। ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ড্রয়ে বছরের আন্তর্জাতিক সূচি শেষ করেছে ব্রাজিল।
প্রথমে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র, এরপর বুধবার উরুগুয়ের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে ড্র করে দারিভাল জুনিয়রের দল। টানা এই ড্রয়ের ফলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে ব্রাজিল। ১২ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৮।
আগামী বছর ব্রাজিলের সামনে বাছাইপর্বের ছয়টি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে চিলি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, ইকুয়েডর ও বলিভিয়া। সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে ব্রাজিলকে এসব ম্যাচের অন্তত চারটিতে জয় পেতে হবে। জয় পেলে তাদের মোট পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৭। অতীতে ২৭ পয়েন্টেই দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে।
২০২৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এবার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি মূল পর্বে অংশ নেবে। সপ্তম স্থানে থাকা দলটি ইন্টারকনফেডারেশন প্লে-অফের সুযোগ পাবে।
বর্তমানে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ে দ্বিতীয় স্থানে, আর সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা দ্বিতীয় ড্রয়ে ব্রাজিল আছে পঞ্চম স্থানে।
যে কোনো অঘটন এড়াতে হলে বাকি ছয় ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করতে হবে ব্রাজিলকে। টেবিলের শীর্ষ ছয়ের মধ্যে জায়গা ধরে রাখতে অন্তত চারটি জয় নিশ্চিত করাই এখন তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেরা ছন্দে ফিরতে না পারলে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে সেলেসাওদের জন্য।