আর্জেন্টিনা ১-০ পেরু
আর্জেন্টিনার এবারের বছরের শেষ ম্যাচটি শুরু হয়েছিল কিছুটা ধীরলয়ে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে। এল বোম্বান্বেরা স্টেডিয়ামে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মাঠে নামে বেশ কয়েকজন ইনজুরিতে থাকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই, পেরুর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা, পেরুর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা। তবে দলের মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে পূর্ণশক্তি নিয়ে নেমেছিলেন লিওনেল স্কালোনি। শুরুটা জোরালো না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে এসে খেলা জমে ওঠে।
খেলার প্রথম ৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিনা বল দখলে রাখার ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। প্রথমার্ধে তারা বলের নিয়ন্ত্রণ রাখে ৭৬ শতাংশ সময়। কিন্তু সেই আধিপত্যকে কার্যকর আক্রমণে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়। আর্জেন্টিনা এই সময়ে প্রতিপক্ষ পেরুর গোলমুখে মাত্র একটি শট নিতে সক্ষম হয়, যা ছিল লক্ষ্যে। গোলের সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া সুযোগটি আসে ম্যাচের ২২ মিনিটে। লাউতারো মার্টিনেজের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় হুলিয়ান আলভারেজ বল পান বক্সের ভেতর। আতলেটিকো মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকারের নেওয়া শটটি বারে লেগে ফিরে আসে, যা আর্জেন্টিনার জন্য ছিল হতাশার মুহূর্ত।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি শট নেওয়া হলেও, সবকটিই ছিল অফ-টার্গেট। আক্রমণে ধারাবাহিকতা এবং কার্যকারিতার অভাব তখন আর্জেন্টিনার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
প্রথমার্ধের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন আর্জেন্টিনাকে দেখা যায়। খেলার ৫৫ মিনিটে ডেডলক ভাঙে একটি অসাধারণ গোলের মাধ্যমে। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে লিওনেল মেসি তাঁর চিরপরিচিত ধাঁচে একটি চিপ পাস করেন। সেই বল ধরে শূন্যে ভেসে মাথা দিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন ইনফর্ম স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ। গোলটি শুধু ডেডলকই ভাঙেনি, বরং আর্জেন্টিনার জন্য এই ম্যাচে জয়ের পথও তৈরি করে দেয়।
গোলের পর থেকেই আর্জেন্টিনার খেলায় আরও গতি ও আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। পেরু চেষ্টা করলেও আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ তাদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে খেলেছে আর্জেন্টিনা এবং গোলের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও, তা আর কাজে লাগাতে পারেনি।
এই জয়ের ফলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ২৫ পয়েন্ট, যেখানে ৮ জয় ও ১টি ড্র রয়েছে।
মেসি-মার্টিনেজের সমন্বয়, দলের লড়াকু মানসিকতা এবং শক্তিশালী রক্ষণ প্রমাণ করেছে কেন আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বছরের শেষ ম্যাচে এই জয় শুধু আর্জেন্টাইন সমর্থকদেরই নয়, গোটা দলের মনোবল আরও বাড়াবে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এখন নতুন বছরে আরও বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। এল বোম্বান্বেরার রাতটি শেষ হয়েছিল আর্জেন্টিনার ফুটবলের আরেকটি স্মরণীয় মুহূর্ত দিয়ে। অপরদিকে উরুগুয়ের সাথে ১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ব্রাজিল।