বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।বিএনপির সঙ্গে একমত হয়ে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামায়াত।এমনকি নির্বাচন বানচালে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচিতে অগ্রভাগে ছিল ইসলামী এই দলটি।
আসন্ন উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।এমতাবস্থায় জামায়াত কি ভোটে অংশ নিচ্ছে কিনা সেটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ রয়েছে।
নিবন্ধন বাতিলের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী প্রতীকবিহীন দল। একটি সূত্র জানায়, তাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ময়মনসিংহ সিটির কয়েকটি কাউন্সিলর পদে ভোট করতে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত দলটি ভোটে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা তো স্থানীয় নির্বাচন। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের সামনে বৈঠক আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া যেহেতু আমরা জাতীয় নির্বাচনে যাইনি, আরও অনেক দলও যায়নি। তাদের সঙ্গেও আলোচনার বিষয় আছে।’
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয় বিএনপির ও জোটের। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে দলটি। এরপরও এ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। কিন্তু নির্বাচনে নানা অভিযোগ ও অনিয়ম এনে ২০২১ সালের মার্চ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এরপরও তৃণমূলের অনেকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি।
স্থানীয় সরকারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধান আছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করতে চায় কমিশন।
এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলোয় দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না। যার যার মতো করে স্বতন্ত্রভাবে দলের নেতারা নির্বাচন করতে পারবেন। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও সমমনা দলগুলোর অনেকের স্থানীয় সরকার ভোটে যাওয়ার আগ্রহ রয়েছে।