
মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যেন এক অভাবনীয় ফর্মে ছিলেন লিওনেল মেসি। টানা পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন জোড়া গোল, যা এমএলএস ইতিহাসে রেকর্ড। মেসির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারেও ২০১২ সালের পর এমন কীর্তি আর দেখা যায়নি। কিন্তু সেই দুর্দান্ত গোল-উৎসবের ইতি ঘটল সিনসিনাটির বিপক্ষে হারে। নিজ মাঠে ৩-০ গোলে হেরে গেল ইন্টার মায়ামি। এই হারের মধ্য দিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকার (চার জয়, এক ড্র) ধারাও শেষ হলো।
মেসির ফর্ম যেখানে হঠাৎ থমকে গেল, সেখানে উল্টো দারুণ ছন্দে থাকলেন সিনসিনাটির ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ইভান্দার। ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল—৫০ ও ৭০ মিনিটে। এটি নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এবারের লিগে ইভান্দারের গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫।
সিনসিনাটির হয়ে প্রথম গোলটি আসে ১৬ মিনিটে। মিডফিল্ডার জেরার্ডো ভ্যালেনজুয়েলা মায়ামির রক্ষণভাগকে বিভ্রান্ত করে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া মায়ামি এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
ম্যাচজুড়ে মায়ামি ছিল যেন নিজের ছায়া। পুরো ৯০ মিনিটে মাত্র দুটি শট রাখতে পেরেছে প্রতিপক্ষ গোলমুখে। মেসির দুই শটের একটি রুখে দেন ডিফেন্ডার লুকাস এঙ্গেল এবং অন্যটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকান সিনসিনাটির গোলরক্ষক রোমান চেলেনতানো। আক্রমণে জোর ছিল না, মাঝমাঠে ছিল না সংযোগ, রক্ষণভাগও ছিল দুর্বল।
পরাজয়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,
‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। সিনসিনাটি আমাদের পুরো সময় চাপে রেখেছিল এবং সহজেই হারিয়ে দিয়েছে। আজকের ফল এবং খেলার ধরণ আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন,
‘আমরা আজ স্পষ্টভাবে প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম। ব্যক্তিগত লড়াইয়ে আমরা হেরে গেছি। দলের মধ্যে শারীরিক ক্লান্তি ছিল, যা হয়তো এই পারফরম্যান্সের পেছনে বড় কারণ।’
এই হারে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে নেমে গেছে ইন্টার মায়ামি। বর্তমানে তাদের পয়েন্ট ৩৮, যা শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম। তবে আশার কথা, তালিকার শীর্ষে থাকা চারটি দলের চেয়ে মায়ামি এখনো তিনটি ম্যাচ কম খেলেছে। ফলে এই তিনটি ম্যাচে জয় পেলে শীর্ষস্থানে ওঠার সুযোগ এখনো আছে।
মায়ামির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুব দ্রুতই আসছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ শনিবার, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী নিউইয়র্ক রেড বুলস।