অবশেষে ফুটবল দুনিয়ার অন্যতম বড় স্বীকৃতি পেলেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিভাবান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের মুকুট নিজের করে নিয়ে বিশ্বমঞ্চে তার আধিপত্য আবারও প্রমাণ করলেন তিনি। যদিও এর আগে ২০২৩ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ভিনিসিয়াস, তবুও ফিফার এই স্বীকৃতি যেন তার জন্যই প্রাপ্য ছিল।

২০২৩-২৪ মরশুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ভিনিসিয়াস। তার পায়ের জাদুতে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা শিরোপা জিততে সক্ষম হয়। মৌসুমে তিনি গোল করেছেন ২৪টি এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১১টি গোল। এমন অসাধারণ পরিসংখ্যান তাকে ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে এনে দাঁড় করায়।
২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর জিতে নেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি। তবে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। অনেকেই মনে করেছিলেন, ভিনিসিয়াসই এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে সেই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে তিনি নিজের যোগ্য সম্মান ফিরে পান।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের ভোটাভুটিতে ভিনিসিয়াস পেয়েছেন ৪৮ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন রদ্রি (৪৩), আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়ালে ভিনির সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম (৩৭)। এটি ভিনিসিয়াসের প্রথমবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়।
পুরস্কার গ্রহণের সময় ভিনিসিয়াস আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন,
“অবশেষে আমার সময় এসেছে। হ্যাঁ, আমি বর্ষসেরা ফুটবলার। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ওরা বারবার আমাকে থামানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি কখনও হাল ছাড়িনি। কেউ আমাকে শেখাতে পারবে না, কার জন্য আমি লড়াই করব বা আমার আচরণ কেমন হবে।”
ভিনিসিয়াস সবসময় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। তার ব্যালন ডি’অর বঞ্চনার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রভাব ফেলেছিল বলে ধারণা করা হয়। ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনাল্ডো তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন,
“ওরা চাইলেও তোমায় মুছে ফেলতে পারবে না। বিশ্বের সেরা ফুটবলার একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং ব্রাজিলিয়ান।”
অন্যান্য পুরস্কার
ফিফার বর্ষসেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছেন ভিনিসিয়াস।
- সেরা কোচ: রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলোত্তি।
- মহিলাদের বর্ষসেরা ফুটবলার: স্পেন ও বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি।
- সেরা গোলকিপার: আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
- পুসকাস পুরস্কার: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আলেজান্দ্রো গার্নাচো। তিনি এভার্টনের বিপক্ষে অসাধারণ এক ব্যাকভলির গোল করে এই স্বীকৃতি অর্জন করেন।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের মুকুট ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবেই মূল্যায়িত করছে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন, এই তরুণ তারকা ভবিষ্যতেও তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের নতুন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম – লাইকবুক
অর্থ আদান-প্রদানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা – পেটাকা