উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের শুরুটা হার দিয়ে করেছিল বার্সেলোনা। তবে এরপর নিজেদের গতি ফিরে পেয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নেয় কাতালান ক্লাবটি। সর্বশেষ, গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষে ৩-২ গোলের নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তের গোলে হ্যান্সি ফ্লিকের দল স্বাগতিক ডর্টমুন্ডকে স্তব্ধ করে দেয়।

জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্কে দুই দলই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে প্রথম বড় সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল ডান দিক থেকে দারুণ একটি পাস দেন রাফিনিয়াকে। কিন্তু একান্ত সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পরক্ষণেই ডর্টমুন্ডও সুযোগ পায়, তবে অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিৎজার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটি গোলবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধে দুই দলই একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ম্যাচে প্রাণ ফিরে আসে। ৫২তম মিনিটে দানি ওলমোর চমৎকার একটি থ্রু বল ধরে রাফিনিয়া ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগ ভেঙে চমৎকার শটে বল জালে জড়ান। এটি চলতি মৌসুমে তার ১৭তম গোল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ষষ্ঠ গোল।
তবে ডর্টমুন্ডও পিছিয়ে থাকেনি। ৬২তম মিনিটে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার পাউ কুবারসির একটি ভুলের কারণে ডর্টমুন্ড পেনাল্টি পায়। স্পট কিকে অস্ট্রিয়ান তারকা শেহরু গুইরাসি ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান।
ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর বার্সেলোনা আরও শক্তিশালী আক্রমণে যায়। ৭৫তম মিনিটে বদলি নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেররান তোরেস দারুণ এক গোল করে বার্সেলোনাকে আবার লিড এনে দেন। তবে তিন মিনিট পরেই ডর্টমুন্ডের হয়ে গুইরাসি তার দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান।
যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে, তখন নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ফের তোরেস গোল করে বার্সেলোনাকে জয় উপহার দেন। তার ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোলই বার্সার জয়ের মূল চাবিকাঠি।
যদিও গোল পাননি, লামিনে ইয়ামাল তার অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ডান দিক থেকে একাধিক আক্রমণ তৈরি করে তিনি দলের আক্রমণভাগকে প্রাণবন্ত রেখেছিলেন।
এই জয়ে বার্সেলোনা গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ১৮। এখন বার্সার চোখ নকআউট পর্বে। তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দলটিকে বড় কিছু আশা করতে সাহস যোগাচ্ছে।
বার্সেলোনার এই ধারাবাহিকতা কি এবার তাদের শিরোপার স্বপ্ন পূরণ করবে? সময়ই বলে দেবে।
আরও পড়ুন
জিরোনার বিপক্ষে লিভারপুলের নাটকীয় জয়