টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা কাটিয়ে অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরেছে বার্সেলোনা। লা লিগায় মঙ্গলবার রাতে রেয়াল মালোর্কার বিপক্ষে ৫-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় হান্সি ফ্লিকের দল। প্রথমার্ধে কিছুটা ধীরগতির হলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি জ্বলে ওঠে কাতালানরা, যা তাদের লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছে।

জয়ের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বার্সেলোনা। দ্বাদশ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ফেররান তোরেস। মালোর্কার এক ডিফেন্ডারের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে পাওয়া আলগা বলে শট নিয়ে গোল করেন তিনি। গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল জালে ঢুকলেও আক্রমণের সুচারু পরিকল্পনা ছিল লক্ষণীয়।
তবে বার্সেলোনার আক্রমণের ধার পুরোপুরি কাজে লাগেনি। ১৯তম মিনিটে ফেররানের ভলি ফিরিয়ে দেন মালোর্কার গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ইয়ামাল দারুণ একটি সুযোগ পেলেও তার শট পোস্টের বাইরে চলে যায়।
৪৩তম মিনিটে মালোর্কা সমতা ফেরায়। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বল ধরে বক্সে ঢুকে পাবলো মাফিওর পাস থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান মারিকি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রাফিনিয়া এবং ইয়ামাল।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক রূপে মাঠে নামে বার্সেলোনা। ৫৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার একটি ফ্রি-কিক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন মালোর্কার গোলরক্ষক। তবে তিন মিনিট পর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ইয়ামালকে বক্সের ভেতর ফেলে দেওয়ায় রেফারি পেনাল্টি দেন। এই গোলের পর থেকে বার্সেলোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের।
৭৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। ইয়ামালের ডান দিক থেকে দেওয়া চমৎকার পাসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে পায়ের আলতো স্পর্শে বল জালে পাঠান তিনি। এই গোল তার বর্তমান মৌসুমে লা লিগায় একাদশতম।
৭২তম মিনিটে দানি ওলমোর বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিট পর গোল করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। মালোর্কার ডিফেন্ডারদের ব্যর্থ ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে ডাচ মিডফিল্ডার ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান।
৮৪তম মিনিটে দলের পঞ্চম এবং শেষ গোলটি করেন পাউ ভিক্তর। ডি ইয়ংয়ের কাট-ব্যাক থেকে কাছ থেকে নিখুঁত ফিনিশিং দেন তিনি। ভিক্তর এই ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ৭৩তম মিনিটে।
রাফিনিয়ার পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। এবারের লা লিগায় তার গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১-তে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তিনি করেছেন ১৬টি গোল।
এই জয়ের পর বার্সেলোনা ১৬ ম্যাচে ১২ জয় এবং এক ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, ১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে মালোর্কা রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করলেও দ্বিতীয়ার্ধে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, ইয়ামাল, ওলমোসহ দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ই দারুণ ফর্মে ছিলেন। বিশ্রামে থাকা লেভানদোভস্কির অভাব অনুভূত হয়নি।
এই জয়ে বার্সেলোনা আবারও প্রমাণ করল, যখন তারা নিজেদের সেরা ফর্মে থাকে, তখন প্রতিপক্ষের জন্য তাদের থামানো প্রায় অসম্ভব।
টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা কাটিয়ে অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরেছে বার্সেলোনা। মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়াল মালোর্কার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে ৫-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় হান্সি ফ্লিকের দল। প্রথমার্ধে কিছুটা ছন্দহীন হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত ফুটবলের প্রদর্শনী করে কাতালানরা। এই জয়ে তারা লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করেছে।
জয়ের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বার্সেলোনা। দ্বাদশ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ফেররান তোরেস। মায়োর্কার এক ডিফেন্ডারের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে পাওয়া আলগা বলে শট নিয়ে গোল করেন তিনি। গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল জালে ঢুকলেও আক্রমণের সুচারু পরিকল্পনা ছিল লক্ষণীয়।
তবে বার্সেলোনার আক্রমণের ধার পুরোপুরি কাজে লাগেনি। ১৯তম মিনিটে ফেররানের ভলি ফিরিয়ে দেন মায়োর্কার গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ইয়ামাল দারুণ একটি সুযোগ পেলেও তার শট পোস্টের বাইরে চলে যায়।
৪৩তম মিনিটে মায়োর্কা সমতা ফেরায়। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বল ধরে বক্সে ঢুকে পাবলো মাফিওর পাস থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান মারিকি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন রাফিনিয়া এবং ইয়ামাল।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক রূপে মাঠে নামে বার্সেলোনা। ৫৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার একটি ফ্রি-কিক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কার গোলরক্ষক। তবে তিন মিনিট পর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ইয়ামালকে বক্সের ভেতর ফেলে দেওয়ায় রেফারি পেনাল্টি দেন। এই গোলের পর থেকে বার্সেলোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের।
৭৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। ইয়ামালের ডান দিক থেকে দেওয়া চমৎকার পাসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে পায়ের আলতো স্পর্শে বল জালে পাঠান তিনি। এই গোল তার বর্তমান মৌসুমে লা লিগায় একাদশতম।
৭২তম মিনিটে দানি ওলমোর বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিট পর গোল করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। মায়োর্কার ডিফেন্ডারদের ব্যর্থ ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে ডাচ মিডফিল্ডার ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান।
৮৪তম মিনিটে দলের পঞ্চম এবং শেষ গোলটি করেন পাউ ভিক্তর। ডি ইয়ংয়ের কাট-ব্যাক থেকে কাছ থেকে নিখুঁত ফিনিশিং দেন তিনি। ভিক্তর এই ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ৭৩তম মিনিটে।
ম্যাচে রাফিনিয়ার পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। তার দুই গোলের পাশাপাশি পুরো ম্যাচ জুড়ে তার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য বিপজ্জনক ছিল। এবারের লা লিগায় এখন পর্যন্ত তিনি করেছেন ১১টি গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে তার গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬-তে। দলের প্রাথমিক গোলদাতা রবের্ত লেভানদোভস্কি বিশ্রামে থাকলেও রাফিনিয়া একাই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এই জয়ের পর বার্সেলোনা ১৬ ম্যাচে ১২ জয় এবং এক ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, ১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে মায়োর্কা রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে।
এই জয়ের আগে লিগে টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছিল বার্সেলোনা। রেয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার, সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ২-২ ড্র, এবং লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলের পরাজয় কাতালানদের চাপের মধ্যে ফেলেছিল। তবে মায়োর্কার বিপক্ষে এই দাপুটে জয় দলটির আত্মবিশ্বাস ফেরাবে।
বার্সেলোনার জয়টি ছিল দলগত প্রচেষ্টার ফসল। দানি ওলমো এবং ইয়ামালের মতো তরুণ প্রতিভারা আক্রমণে ধার এনেছেন। ডি ইয়ং এবং রাফিনিয়ার দারুণ পারফরম্যান্স মধ্যমাঠ এবং আক্রমণভাগে ভারসাম্য এনেছে।
তবে প্রথমার্ধে কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট এবং রক্ষণের মাঝে কিছু ভুল চোখে পড়ার মতো ছিল। শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই ভুলগুলো মেরামত করতে হবে।
বার্সেলোনার জন্য এটি ছিল শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জয়ের চেয়ে বেশি। টানা ব্যর্থতার পর এই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস ফেরাবে এবং শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকার বার্তা দেবে। লিগের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং প্রতিপক্ষের চাপ সামলে নেওয়া হবে হান্সি ফ্লিকের দলের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন
ম্যানচেস্টার সিটির দুর্দশা বাড়িয়ে লিভারপুলের দারুণ জয়