মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ৩-১ গোলে জয়লাভ করেছে মিলান। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর টানা দুটি ম্যাচে জয়লাভ করেছে। এদিকে, রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল।
এটি রিয়ালের চলতি মৌসুমে তৃতীয় হার, যেখানে গত মৌসুমে তারা মাত্র দুটি ম্যাচে হেরেছিল। ম্যাচের শুরুতেই ভ্যালেন্সিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে শোক জানানো হয়। খেলা শুরু হতে না হতেই রিয়াল আক্রমণ করতে থাকে।
১২ মিনিটের মাথায় মিলান রিয়ালকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলকে হেডে জালে পাঠান মালিক তিয়াউ। রিয়াল সমতায় ফেরার জন্য চেষ্টা করলেও, এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস গোল করতে পারেননি। তবে খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল, ২৩তম মিনিটে ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার দুঃখ ভুলে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস।
ম্যাচে রিয়াল সমতায় ফিরে আসলেও, ৩৯ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে। রাফায়েল লিয়াওয়ের শট রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন ঠেকালেও, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করেন আলভারো মোরাতা। ৪৩ মিনিটে এমবাপ্পের শট মিলান গোলরক্ষক মাইক মানিয়াঁ দারুণ দক্ষতায় ঠেকান, ফলে রিয়াল সমতায় ফিরে আসতে পারেনি। বিরতির আগে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে যায় রিয়াল।
বিরতির পর দুটি পরিবর্তন এনে গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে রিয়াল। তবে দ্রুত তৈরি হওয়া সুযোগগুলো গোলের দিকে নিয়ে যেতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, একের পর এক আক্রমণে মিলান রিয়ালকে কাঁপিয়ে তোলে। ৬ মিনিটে লেয়াওয়ের হেড রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন ঠেকান, কিন্তু ৭৩ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার টিজ্জানি রেইজন্ডার্স মিলানকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
৮১ মিনিটে রুডিগারের শট গোল হয়ে থাকলে রিয়ালের আশা ফিরে আসতে পারতো, কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের জন্য গোল বাতিল হয়। শেষ দিকে, দুটি দলই একটি করে সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়।
এই জয়ে মিলান ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে উঠে এসেছে, আর ৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল ১৭ নম্বরে রয়েছে।
আরও পড়ুন
আবারও চোটে নেইমার: মাঠে ফিরেই ফের ইনজুরি