কুয়াকাটার তাহেরপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির ফলে ১৩টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এই ঝড় শুরু হলে পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাসে গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যার ফলে অনেক পরিবার রাত কাটাতে বাধ্য হয় খোলা আকাশের নিচে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির সময় হঠাৎ শুরু হওয়া এই দমকা হাওয়ার কারণে তাহেরপুর গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন পরিবারের ঘরের টিনের চাল ও কাঠামো উড়ে গেছে। গাছপালা ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে অনেক জায়গায় জান-মালের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ইব্রাহিম নামে একজনের ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়, আর আবুতালেবের বাড়িতে গাছ উপড়ে পড়ে ঘর ভেঙে পড়ে, যার ফলে তার ঘরটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই গ্রামের বাবুল সরদারের বসতঘরের চাল ও বেড়া বাতাসে উড়ে গিয়ে তাকে দারুণ অসুবিধায় ফেলে দেয়। এছাড়া দুলাল, কামাল, রুবেল, বেল্লাল, রিয়াজ, গিয়াস উদ্দিন, হালিম এবং মোশাররফের ঘরের উপর গাছ পড়ে সম্পূর্ণ ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাওলানা আব্দুর জব্বার জানান, প্রবল বাতাস এতটাই তীব্র ছিল যে, মুহূর্তের মধ্যে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি এবং গাছপালা উড়ে যায়। এতে পুরো গ্রামজুড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জামাল সরদার নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘প্রচণ্ড বাতাসের কারণে আমাদের মসজিদের অর্ধেক চাল উড়ে গেছে, সেই সাথে আশপাশের অনেক গাছপালাও উপড়ে গেছে।’
ঘূর্ণিঝড়ের এই প্রভাবের পর কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। তিনি জানান, লতাচাপলি ইউনিয়নের তাহেরপুরে ঝড়ের কারণে ১৩টি টিনের ঘর এবং অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
নাসার চোখে ধরা পড়ল সাইকি গ্রহাণুর ধাতব রহস্য
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে গাছের নিচে চাপা একজনের মৃত্যু
পড়েঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা