বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচটি ছিল টিকে থাকার জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। ম্যাচের শুরুতেই এদুয়ার্দো ভার্গাসের হেডে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। দ্বিতীয় মিনিটে ফেলিপে লয়লার ক্রসে দূরের পোস্টে ভার্গাসের শক্তিশালী হেড ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করে।
প্রথমার্ধে ব্রাজিলের আক্রমণ সেভাবে কার্যকর হচ্ছিল না। রদ্রিগো, সাভিনিয়োরার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল বারবার। তবে আশার আলো দেখান তরুণ ইগর জেসুস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাভিনিয়োর ক্রসে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান জেসুস। এর ফলে ব্রাজিল ম্যাচে ফিরতে শুরু করে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা যখন ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল, তখন বদলি হিসেবে নামা লুইস এইহিক ব্রাজিলের ভাগ্য বদলান। ৮৯তম মিনিটে ব্রুনো গুইমারাইসের পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে গোল করেন এইহিক। এই গোলটি শুধু ব্রাজিলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়নি, বরং পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। চিলির গোলরক্ষক গোলটি ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি।
এই জয়ের ফলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে ব্রাজিল। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা, আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে কলম্বিয়া দ্বিতীয় স্থানে। চিলি ৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে অবস্থান করছে।
ব্রাজিলের এই জয় শুধু বাছাইপর্বে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেনি, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়েছে, বিশেষ করে এমন এক ম্যাচে যেখানে শুরু থেকেই তারা পিছিয়ে পড়েছিল।