জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়েছে। কে উপস্থিত থাকলেন, কে থাকলেন না—এই বিষয়গুলো বিবেচনা না করেই তারা সনদ স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে। এতে সরকার এমন এক আচরণ করেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থী।
আজ রোববার দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দলের কর্মিসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা থেকে দলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতা–কর্মীরা মিলনায়তনে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
সারজিস আলম বলেন, “যাঁরা আইন পড়ান, আইন তৈরি করেন—তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাধা নেই। নেই বলেই আমরা প্রতীকটি চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা অন্তর্ভুক্ত করেনি। হয় তাঁরা খামখেয়ালিপনায় এটা বাদ দিয়েছেন, অথবা কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে সৎ সাহস দেখাতে পারেননি।”
তিনি বলেন, “আমরাও জুলাই সনদ চাই, তবে শুধু নামকাওয়াস্তে নয়। আমরা চাই আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তাসহ একটি সনদ। বিএনপি সনদের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে—এই সাতটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হবে কি না। যদি নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, তাহলে সনদে স্বাক্ষর করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস আলম বলেন, “মানিক মিয়া এভিনিউতে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব ছিল। তাহলে গেজেটেড জুলাই যোদ্ধা ও হাজারো শহীদ পরিবারের জন্য কেন আসনের ব্যবস্থা করা হলো না? শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও আমলাদের নিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে—এটাই অন্যায়।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের অংশগ্রহণ না থাকায় তাঁদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তারা অপ্রত্যাশিতভাবে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছে—এটা পদ্ধতিগত ভুল হতে পারে। কিন্তু তাঁদের ওপর প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেভাবে হামলা করা হয়েছে, তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য লজ্জাজনক।”
সারজিস আলম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করুন। তাঁদের প্রতি প্রশাসনের যে আচরণ করা হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারে না।”
সারজিস আলমের এই বক্তব্য জুলাই সনদ ও এনসিপির প্রতীক সংকট নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি বলেন, “সনদ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখে মনে হয়েছে যেন তাদের কোনো গোপন তাড়া ছিল—খুব দ্রুত শেষ করার চেষ্টা। কে এল, কে এল না, তা বিবেচনা না করেই তারা সনদ স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি না করে দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এতে জনগণ যে আশায় ছিল—সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখবে—তা ভেস্তে গেছে।”
তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “যদি জুলাই সনদ গণভোটে অনুমোদিত হয়, তাহলে সেই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তখনই আমরা সনদে স্বাক্ষর করব।”
.এ.বি.এম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণা করেছে যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলটি ‘শাপলা’ ও ‘শাপলায়’ প্রতীক…
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরগুনার আমতলী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় রূপ বানু (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত…
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিতব্য জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ…
বরগুনার আমতলী উপজেলার ৪নং হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এইচএসসি পরীক্ষায়…
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার…
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার…