
ভিন্ন মঞ্চ, একই রোমাঞ্চ—ভালেন্সিয়াকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে কোপা দেল রের সেমিতে বার্সেলোনা
ভিন্ন মাঠ, ভিন্ন প্রতিযোগিতা—তবু গল্প যেন পুরোনো! মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে আবারও ভালেন্সিয়াকে গোলবন্যায় ভাসাল বার্সেলোনা। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগার ম্যাচে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর, এবার কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে মেস্তায়া স্টেডিয়ামে ৫-০ গোলের বিশাল জয়ে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল।
প্রথম মিনিট থেকেই দাপট দেখাতে থাকে বার্সেলোনা। মাত্র ৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে আলেহান্দ্রো বাল্দের নিখুঁত পাস ডি-বক্সে পেয়ে এক স্পর্শে বল জালে পাঠান ফেররান তরেস। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল পেলেও, শ্রদ্ধাবশত উদযাপন করেননি ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

এরপরও দমেনি বার্সেলোনা। ১৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরেস। রাফিনিয়ার পাস থেকে লামিনে ইয়ামালের শট গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বল পেয়ে জোরাল শটে জালে জড়ান তরেস। রেফারি প্রথমে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলেও, ভিএআরের সাহায্যে গোলটি বৈধতা পায়।
২৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তরুণ মিডফিল্ডার ফের্মিন লোপেস। মাঝমাঠ থেকে পেদ্রির দারুণ পাসে ছুটে গিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের সামনে থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা।
প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফেররান তরেস। ৩০তম মিনিটে আরও একটি দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। সতীর্থের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মধ্যে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন তরেস, যা দলের চতুর্থ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে ভালেন্সিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও, বার্সেলোনার রক্ষণ ও মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণে সেই প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন লামিনে ইয়ামাল। ডান প্রান্ত থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন ১৬ বছর বয়সী বিস্ময়বালক।
এই বিশাল জয়ের মাধ্যমে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল বার্সেলোনা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ম্যাচে মোট ১২ গোল হজম করল ভালেন্সিয়া, আর দুই ম্যাচে ১২ গোল করেও বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ক্ষুধা যেন কমছেই না!
এই জয়ের পর ফ্লিকের দল কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিলেও, সামনে অপেক্ষা করছে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। দলের তারকা খেলোয়াড়দের ছন্দ ও ফর্ম বজায় থাকলে, তারা শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলেই আশা করছে বার্সা সমর্থকেরা।