ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চের ধাক্কায় ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে জেলা শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দোষারোপ করছে।
নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘রাজারহাট বি’ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ খাকদোন নদী দিয়ে বরগুনা নৌবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চটি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ধাক্কা খায়। এ সময় তার ছিঁড়ে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ভেঙে পড়ে, এবং রাস্তার ওপর তার ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নদীর পাশে অবস্থিত দুটি বাড়ির বৈদ্যুতিক খুঁটিও ভেঙে যায় এবং বাড়িগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ জানান, লঞ্চের সঙ্গে বিদ্যুৎ তারের সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওজোপাডিকো উপকেন্দ্রে আধুনিক শাটডাউন ব্যবস্থা চালু থাকায় দুর্ঘটনার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওজোপাডিকোর বরগুনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তাদের কুইক রেসপন্স টিম বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য দ্রুত কাজ করছে। দলটি ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনর্বহাল করা সম্ভব হয়।
এ ঘটনায় নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে পূর্বের সমন্বয়হীনতার বিষয়টি আবারও প্রকাশ পেয়েছে। নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যুতের এই লাইন সরানোর জন্য তারা একাধিকবার চিঠি পাঠালেও বিদ্যুৎ বিভাগ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
মিত্র দলের নেতাদের সহযোগিতায় বিএনপির নির্দেশনা
যে কারণে নেইমারের জাতীয় দলে ফেরা অনিশ্চিত
আল-তাইয়ের বিপক্ষে আল-হিলালের দুর্দান্ত জয়