
অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ! পবিত্র মাহে রমজানের শুভ সূচনা হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে—কবে দেখা মিলবে রমজানের প্রতীক্ষিত নতুন চাঁদের?
ইসলাম ধর্মের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখার বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারণ, সৌদিতে চাঁদ দেখা গেলে পরের দিনই দেশটিতে রোজা শুরু হয়। সাধারণত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সৌদির পরদিন রমজানের চাঁদ দেখতে পায় এবং এরপরই শুরু হয় সিয়ামের আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্বের বিভিন্ন চাঁদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের নটিক্যাল আলমানাক অফিস পরিচালিত ‘ক্রিসেন্ট মুন ওয়াচ’ জানিয়েছে, এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান ১ বা ২ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে। তবে পশ্চিম গোলার্ধের কিছু অঞ্চলে সৌদি আরবের আগেই চাঁদ দেখা যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি: চাঁদ দেখার সম্ভাব্য দিন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (২৯ শাবান) নতুন চাঁদটির জন্ম হবে মক্কার সময় অনুযায়ী রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। তবে ওইদিন সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় খালি চোখে চাঁদ দেখা কঠিন হবে। এমনকি উন্নত টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও এসব অঞ্চলে চাঁদ দেখা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু স্থানে এই চাঁদ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রমজানকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে, ইফতার ও তারাবির আয়োজন নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, বাজারগুলোতে জমতে শুরু করেছে ইফতার সামগ্রীর ভিড়।
রমজান কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম ও মানবিকতার এক মহিমান্বিত মাস। তাই নতুন চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে এক মাসব্যাপী ইবাদত, দোয়া ও সিয়ামের বিশেষ অনুশীলন।
সবাই এখন তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে—প্রত্যাশা একটাই, রমজানের নতুন চাঁদের সাক্ষী হয়ে পবিত্র মাসকে স্বাগত জানানো।