তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করতে সময় নেননি সাগরিকা। রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নেপালের বিপক্ষে। করেছেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। তাঁর দাপুটে নৈপুণ্যে এক ম্যাচ বাকি থাকতে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-২০ দল টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও দেখাল পূর্ণ আধিপত্য। প্রতিপক্ষ নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের মুকুট নিশ্চিত করল মেয়েরা।
সোমবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। চারটি গোলই আসে সাগরিকার জাদুকরী পা থেকে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ খেলেও তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে ছিলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই রীতিমতো আলো ছড়ালেন দেশের ফুটবল অঙ্গনে।
ম্যাচ শুরুর আগে হৃদয়বিদারক এক ক্ষণ। ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেই শোক জানিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সেই বিষণ্নতা কাটিয়ে মাঠে নিজেদের খেলায় প্রাণ ফেরান বাংলার মেয়েরা।
খেলা শুরুর পর থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কাছের পোস্টে সাগরিকার শট রুখে দেন নেপাল গোলকিপার। এরপর শান্তি মার্দি একটি সহজ সুযোগ মিস করেন।
তবে অষ্টম মিনিটেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন সাগরিকা। অফসাইড ফাঁদ ভেঙে থ্রু বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে গোলকিপারকে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও ১৮তম মিনিটে বাংলাদেশের জালে বল পাঠাতে বসেছিল নেপাল। মিলি আক্তারের হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল নেপালের মিনা দেউবা পোস্টে মেরে বাংলাদেশকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
বিরতির পর নেপালের উপর চাপ আরও বাড়ায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে সাগরিকা নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দারুণ স্টাইলে। সতীর্থের পাস নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে জোরালো শটে বল পাঠান জালে।
এর কিছু পরেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে আসা লং ক্রস বলটি তিনি চিপ শটে নেপালের গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান। এই নিয়ে চলতি আসরে তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক; এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
৭৬তম মিনিটে পায়ের কারিকুরিতে নেপাল ডিফেন্সকে কাটিয়ে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন সাগরিকা। এরপরই তাঁকে তুলে নেন কোচ পিটার জেমস বাটলার।
চার দল নিয়ে আয়োজিত এই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ খেলেছে টানা ছয় ম্যাচ, জিতেছে সব ক’টি। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে থেকেই দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। রানার্সআপ হয়েছে ১২ পয়েন্ট পাওয়া নেপাল।
গতবারের মতো এবারও অপরাজিত থেকে শিরোপা ধরে রাখার আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে লাল-সবুজের মেয়েরা। সাগরিকা হয়ে উঠেছেন দেশের নতুন গোলমেশিন। আর তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গর্বের সঙ্গেই বলছে— ‘নারী ফুটবলেও আমরা সেরা।’
বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বিডিলীগ ডটকম আয়োজন করতে যাচ্ছে…
কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে চার্জার একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম। আমরা যেমন…
সম্প্রতি গুগল তাদের Google Phone App-এ বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে ডায়ালপ্যাড, হোমপেজ ও…
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যসংস্কৃতিতে মাছ ও মাংসের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাতের সঙ্গে মাছ কিংবা মাংস – দুইটিই…
নিশ্ছিদ্র অবরোধে জর্জরিত গাজায় একরাশ রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিনভর চালানো…
সাম্প্রতিক এক যুগান্তকারী আবিষ্কারে সৌরজগতের প্রায় শেষ প্রান্তে, প্লুটোরও বহু দূরের এক রহস্যঘেরা অঞ্চলে, নতুন…