চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল লিভারপুল। একের পর এক জয় তুলে নিয়ে আর্নে স্লটের দল শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছিল সবার আগে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে তাদের অন্যতম শিরোপা দাবিদার মনে করছিল অনেকে। তবে নকআউট পর্বের কঠিন বাস্তবতায় মুখ থুবড়ে পড়ল ইংলিশ ক্লাবটি।
প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জয় পেলেও দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে পিএসজির বিপক্ষে একই ব্যবধানে হেরে বসে লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, সেখানেও কোনো দল গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ফরাসি জায়ান্টরা। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লুইস এনরিকের দল, আর হতাশায় ডুবে লিভারপুল।
অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। মোহামেদ সালাহ মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে দুইটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। চলতি মৌসুমে ৩২ গোল করা এই মিসরীয় ফরোয়ার্ডের প্রথম শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়, দ্বিতীয়টি লক্ষ্যে থাকলেও সহজেই আটকে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
দারুণ শুরুর পরও প্রথম গোলের দেখা পায় প্রতিপক্ষ পিএসজি। ১২ মিনিটে ওসমান দেম্বেলের গোল স্তব্ধ করে দেয় অ্যানফিল্ডকে। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে দেম্বেলে ডানদিকে ব্র্যাডলি বার্কোলাকে পাস দেন। এরপর দ্রুত গতিতে ছুটে গিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। বার্কোলা ফিরতি পাস দিলে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন লিভারপুল ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে। আলিসনকে ফাঁকি দিয়ে বল গোললাইনের একদম সামনে চলে গেলে ঠান্ডা মাথায় ছোট্ট টোকায় গোলটি করেন দেম্বেলে।
এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যানফিল্ডে ২০১৭ সালের পর দ্রুততম গোল হজম করল লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরার আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি, অন্যদিকে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে এরপর একাধিক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে তিনটি শট নেয় স্বাগতিকরা, তবে একটি বলও জালের দেখা পায়নি। এর মধ্যে তৃতীয় প্রচেষ্টায় গোল করেছিল লিভারপুল, কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়।
৫৭ মিনিটে লুইস দিয়াসের হেড দুর্দান্তভাবে রুখে দেন দোন্নারুম্মা। পুরো ম্যাচজুড়ে একের পর এক আক্রমণ হলেও লিভারপুলের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। সময় যত গড়ায়, ততই ম্যাচের গতি কমতে থাকে। শেষদিকে পিএসজির আক্রমণের ধার কিছুটা কমে এলেও লিভারপুল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
৯০ মিনিটের খেলা শেষেও ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়ে দুই দলই রক্ষণ সামলানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। ১০৯তম মিনিটে দেম্বেলে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার জোরালো শট রুখে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নায়ক হয়ে ওঠেন দোন্নারুম্মা। পিএসজির প্রথম চারজন শট নিয়ে গোল করেন, অন্যদিকে লিভারপুলের দারউইন নুনেস ও কার্টিস জোন্সের শট ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। ৪-১ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।
এই হারে শেষ ষোলো থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যাত্রা শেষ হলো লিভারপুলের। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও নকআউট পর্বের প্রথম ধাপেই থেমে যেতে হলো তাদের।
অন্যদিকে পিএসজির গল্পটা ছিল পুরোপুরি উল্টো। গ্রুপ পর্বের শুরুতে টানা ব্যর্থতায় তাদের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম ফেভারিট লিভারপুলকেই বিদায় করে দিল। দোন্নারুম্মার দুর্দান্ত নৈপুণ্য ও দলের প্রতিরোধী ফুটবল তাদের এনে দিল একটি বড় জয়।
এখন দেখার বিষয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী ধাপে লুইস এনরিকের দল কতদূর যেতে পারে। লিভারপুলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে তুঙ্গে থাকা এই পিএসজি কি এবার শিরোপার স্বাদ পাবে? সময়ই দেবে তার উত্তর।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলী উপজেলার পশুর হাটগুলোতে কোরবানির পশুর সরবরাহ বেড়েছে কয়েকগুণ।…
লা লিগার শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচেই এখন যুদ্ধ করতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রতিটি…
নিশ্চিতভাবেই ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ফেরার পথে বিশাল এক পদক্ষেপ নিয়েছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের…
বিশ্বজুড়ে যখন ফিলিস্তিন সংকট মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তখন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা জেলা থেকে উঠে এলো…
নিশ্চিতভাবেই ম্যাচের আগে অনুমান করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ রিয়াল মাদ্রিদের…
ফিফা র্যাংকিংয়ের পার্থক্য বিশাল—ভারত ১২৬, বাংলাদেশ ১৮৫। শক্তির বিচারে ফেভারিট ভারত, তাছাড়া খেলা ছিল ভারতেরই…