
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহীন হাওলাদার (৪৩) ওরফে কসাই শাহীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে উপজেলার আনন্দবাজার সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন শনিবার (২ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পীরতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শাহীন হাওলাদারের সঙ্গে লেবুখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের এক গার্মেন্টসকর্মীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সম্পর্কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন শাহীন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতেও তিনি ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তবে এদিন বিয়ের জন্য চাপ দিলে শাহীন সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান এবং সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে প্রতারিত নারী ক্ষুব্ধ হয়ে শাহীনকে খুঁজতে থাকেন।
ধর্ষণের ঘটনার পর প্রতিকার চাইতে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ভুক্তভোগী নারী উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় শাহীনকে খুঁজতে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই শাহীন, তার স্ত্রী শারমিন (৩০) ও ছেলে মিয়াদ (১৮) মিলে ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।
পথচারীরা আহত নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দুমকি থানায় শাহীন হাওলাদার, তার স্ত্রী শারমিন ও ছেলে মিয়াদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ শাহীনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার রাতে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতারকৃত শাহীনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।