কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বের জন্য মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন। ৬৫ বিলিয়ন ডলারের এই পরিকল্পনা মেটার এআই অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং ওপেনএআই ও গুগলের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য নেওয়া হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, “এটি এআই প্রযুক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। আমাদের মূল পণ্য এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে এই বিনিয়োগ একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।”
এই বিশাল বিনিয়োগের একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হবে ২ গিগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণে। মেটার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডেটা সেন্টারটি আকারে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের একটি বড় অংশের সমান হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে মেটা ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এবং ১ গিগাওয়াট কম্পিউটিং ক্ষমতা অনলাইনে আনার লক্ষ্য নিয়েছে।
মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে একক আধিপত্যের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে না। তবে, প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে মেটা যেভাবে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, তা প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ওপেনএআই, সফটব্যাংক, এবং ওরাকলের ‘স্টারগেট’ প্রকল্পের অধীনে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। মাইক্রোসফটও এআই খাতে ৮০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে আমাজনও তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্লেষক গিল লুরিয়া এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “জাকারবার্গ তার বিনিয়োগ পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, তিনি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে চান না।”
মেটা ইতোমধ্যে এআই খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এআই চ্যাটবট, রে-ব্যান স্মার্ট গ্লাস, এবং ওপেন সোর্স উদ্যোগের মাধ্যমে মেটা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ১ বিলিয়ন ব্যবহারকারীকে সেবা দেবে। এটি ২০২৪ সালের ৬০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তুলনায় অনেক বেশি।
মেটার এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তির এই দ্রুত অগ্রগতি তাদের গ্রাহক এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
মার্ক জাকারবার্গের এই বিনিয়োগ ঘোষণার পরপরই মেটার শেয়ারের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। ৬৫ বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগ গত বছরের ৩৮-৪০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মেটা জানায়, তাদের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ২৯ জানুয়ারি। বিনিয়োগ এবং শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ আর্থিক ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বেশ আশাবাদী।
মেটার এই বিনিয়োগ শুধু প্রতিষ্ঠানটির জন্য নয়, পুরো এআই প্রযুক্তি খাতের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে। জাকারবার্গের নেতৃত্বে মেটা যেভাবে এই খাতে অগ্রগতি করছে, তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মেটার এই পদক্ষেপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত আধিপত্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বিডিলীগ ডটকম আয়োজন করতে যাচ্ছে…
কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে চার্জার একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম। আমরা যেমন…
সম্প্রতি গুগল তাদের Google Phone App-এ বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে ডায়ালপ্যাড, হোমপেজ ও…
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যসংস্কৃতিতে মাছ ও মাংসের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাতের সঙ্গে মাছ কিংবা মাংস – দুইটিই…
নিশ্ছিদ্র অবরোধে জর্জরিত গাজায় একরাশ রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিনভর চালানো…
সাম্প্রতিক এক যুগান্তকারী আবিষ্কারে সৌরজগতের প্রায় শেষ প্রান্তে, প্লুটোরও বহু দূরের এক রহস্যঘেরা অঞ্চলে, নতুন…