বক্সিং ডে ফুটবলে নিজেদের দুরবস্থা কাটানোর আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠ ইতিহাদে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ এভারটনের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল সহজ। কিন্তু অতীতের বক্সিং ডেতে টানা জয়ের রেকর্ড, ঘরের মাঠের সুবিধা কিংবা দলগত দক্ষতার কিছুই কাজে আসেনি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। প্রিমিয়ার লিগের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

এই ড্রয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর হতাশা আরও গভীর হলো ম্যানচেস্টার সিটির জন্য। শুধু তাই নয়, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের মধ্যে ১২টি জয়বিহীন থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলটিকে। এমন পারফরম্যান্স চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য যেন এক অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিহাদের মাঠে আজ সিটির জন্য জয় ছিনিয়ে আনার সুযোগ ছিল। ম্যাচের ৫১ মিনিটে স্যাভিনিওর ওপর ফাউলের কারণে পেনাল্টি পেয়েছিল সিটি। দলের প্রধান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে শট নিতে সময় নিলেও, এভারটনের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড দারুণভাবে তা ঠেকিয়ে দেন। হলান্ডের বাঁ পায়ের দুর্বল শট রুখে দেওয়া পিকফোর্ড যেন সিটির জয় স্বপ্নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। ১৪তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভা গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন। তবে ৩৬তম মিনিটেই এভারটনের ইলিমান এনদিয়ায়ে গোল করে সমতা ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা চালালেও কেউই সফল হতে পারেনি। পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে।
২৬ ডিসেম্বরের বক্সিং ডেতে এর আগে টানা সাত ম্যাচ জিতেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এবারের বক্সিং ডে ম্যাচ সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ টেনে দিল। এমনকি পয়েন্ট হারানোর কারণে লিগে শীর্ষ চারেও অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে গার্দিওলার দলের জন্য।
এই ড্রয়ের পর লিগে ১৮ ম্যাচ খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সিটির অবস্থান ষষ্ঠ। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা ধরে রাখার লড়াইয়ে এখন বড় শঙ্কায় পড়েছে দলটি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন ১১ পয়েন্ট, এবং লিভারপুলের হাতে রয়েছে দুটি ম্যাচ কম।
অন্যদিকে, এভারটন ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৫তম স্থানে রয়েছে। যদিও তাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা থাকলে রেলিগেশন জোন থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।
ম্যানচেস্টার সিটির এই পারফরম্যান্স দলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। টানা ব্যর্থতার এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পেপ গার্দিওলাকে দ্রুত কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায়, চলতি মৌসুমে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে সিটিজেনদের।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের নতুন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম – লাইকবুক
অর্থ আদান-প্রদানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা – পেটাকা