রিয়াল মাদ্রিদে সময়টা মোটেও স্বস্তিদায়ক কাটছে না কিলিয়ান এমবাপ্পের। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে অতীতে যে জৌলুসপূর্ণ পারফরম্যান্স তিনি দেখিয়েছেন, সেটি রিয়ালে যেন উধাও। আর সেই হতাশার দিনে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে আবারও পেনাল্টি মিস করলেন এই ফরাসি তারকা। এর ফলে ২-১ গোলে হারের স্বাদ পেতে হলো গ্যালাকটিকোসদের।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে রিয়াল আধিপত্য দেখালেও আক্রমণে কার্যকর কিছু করতে ব্যর্থ হয়। প্রতিপক্ষের রক্ষণে একাধিকবার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেও লক্ষ্যে একটি শটও রাখতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল।
বিরতির পর ম্যাচের গতি পাল্টায়। ৫৪তম মিনিটে কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় গোল করে এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিক বিলবাও। নিকো উইলিয়ামসের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রস ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন থিবো কোর্তোয়া, কিন্তু বল বেরেনগারের গায়ে লেগে ফের কোর্তোয়ার শরীরে বাধা পায়। শেষে বেরেনগার টোকা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে বিলবাওকে এগিয়ে দেন।
এরপর ম্যাচের ৬২তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পায় রিয়াল। বক্সে আন্টোনিও রুডিগারকে ফাউল করার পর পেনাল্টি পায় দলটি। তবে এমবাপ্পের নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাও গোলরক্ষক ইউলেন আহিরেসাবালা।
এটি ছিল এমবাপ্পের টানা দ্বিতীয় পেনাল্টি মিস। এর আগে গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষেও পেনাল্টি মিস করেছিলেন তিনি, যে ম্যাচে রিয়াল ২-০ গোলে হেরে যায়।
তবে এমবাপ্পের পেনাল্টি মিসের হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রিয়াল। ৭৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন জুড বেলিংহ্যাম। দূর থেকে এমবাপ্পের নেওয়া শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর ফিরতি বল পেয়ে যান বেলিংহ্যাম। নিখুঁত শটে জালে বল পাঠিয়ে দলকে সমতায় ফেরান এই ইংলিশ তারকা।
সমতায় ফেরার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি রিয়ালের জন্য। দুই মিনিট বাদেই রিয়ালের ডিফেন্সের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করেন বিলবাও ফরোয়ার্ড গোর্কা গুরুজেটা। বক্সের বাইরে ফেদে ভালভের্দের পায়ে থাকা বল কেড়ে নিয়ে গুরুজেটা প্রবল গতির শটে কোর্তোয়ার পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রিয়াল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও বিলবাওয়ের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয়। ফলাফল—লা লিগায় দ্বিতীয়বারের মতো পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদের দলটি।
এই হারের ফলে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হারিয়েছে রিয়াল। ১৫ ম্যাচে ১০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। অন্যদিকে, এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। মায়োর্কাকে বিধ্বস্ত করে শীর্ষে বার্সেলোনা।
২০১৫ সালের পর এই প্রথমবারের মতো লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জয় পেল অ্যাথলেটিক বিলবাও। এই জয় তাদের জন্য যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি লিগে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার ক্ষেত্রে বড় এক ধাপ।