
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার কুয়াকাটায় এক রাতে দুটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আলীপুর থ্রি পয়েন্ট এলাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মঞ্জু শরীফ জানান, তিনি সারাদিন কোম্পানির কালেকশন শেষে রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসায় ফেরেন। পরে রাত ২টার দিকে তার ব্যবসায়িক কালেকশনের ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা একটি রুমে রেখে পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার বাসায় চুরি হয়েছে। চোরেরা নগদ টাকার পাশাপাশি তার স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, যার মধ্যে স্বর্ণের চেইন, গলার হার, হাতের রুলি, আংটিসহ প্রায় সাত ভরি স্বর্ণ ছিল, সেটিও নিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, ঘরের দরজার হুক ভিতর থেকে ভাঙা ছিল, যা দেখে তার ধারণা, চোরেরা আগে থেকেই ঘরের ভেতরে ওঁৎ পেতে ছিল। মহাসড়কের পাশে এমন চুরি হওয়ায় তিনি হতবাক এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
একই রাতে আলীপুর এলাকার সাংবাদিক জুয়েল ফরাজীর বাসায়ও চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা তার বাসা থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
জুয়েল ফরাজী জানান, চুরির সময় তার পরিবারের কেউ বাসায় ছিল না, আর তিনিও ব্যবসায়িক কাজে কুয়াকাটায় অবস্থান করছিলেন। সকালে প্রতিবেশীরা ফোন করে তাকে দরজা খোলা থাকার খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তিনি দেখেন, তার বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। সড়কের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এই ধরনের চুরির ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।