লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মামলার পূর্ণ শুনানি আজ বৃহস্পতিবার কুয়েতের আদালতে শুরু হচ্ছে। পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাঁকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। কুয়েতের দৈনিক আল কাবাস ও আল রাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহ এবং অন্য দুই সরকারি কর্মকর্তা হাসান আবদুল্লাহ আল খাদের ও নওয়াফ আলী আল শালাহিকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ নয়জনের বিচার শুরু হচ্ছে আজ। এমপি পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কুয়েতের দুই সাংসদকে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি। পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে সাংসদ পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে। মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসাবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে এমপি পাপুলসহ ছয়জন কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন দুই কুয়েতি এমপি অপর একজন পলাতক। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একটি চক্রের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে কুয়েতে পাচার করে ১৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব এরই মধ্যে জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ।
এরমধ্যে কুয়েত সরকার এমপি পাপুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক কর্মকর্তারা।