
পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনির বাসায় ছুরিকাঘাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন (২১) নিহত হয়েছেন।
প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বংশাল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছাত্রী বারজিস শাবনাম বর্ষা (১৯) হত্যার সঙ্গে জড়িত ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। বর্ষা জোবায়েদের প্রাইভেট ছাত্রী ছিলেন। তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করতেন। বিষয়টি জানতে পারেন বর্ষার দীর্ঘদিনের প্রেমিক মাহির রহমান (১৯), যার সঙ্গে বর্ষার ক্লাস ফোর থেকে ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
জোবায়েদের প্রতি বর্ষার আগ্রহের কারণে মাহিরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহির প্রেমিক প্রতিদ্বন্দ্বী জোবায়েদকে হত্যা করে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাহির রাজধানীর বোরহানউদ্দিন কলেজে উন্মুক্ত বিভাগে পড়াশোনা করেন, আর তার বাসাও বর্ষার একই এলাকায়।
গতকাল রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে বর্ষাদের বাসার তৃতীয় তলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ওই বাসায় গত এক বছর ধরে জোবায়েদ বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন, তাদের বাসা আরমানিটোলার ১৫, নুরবক্স লেনের রৌশান ভিলা।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় জোবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি রফিকুল ইসলাম) বলেন,
“তিনি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বাসাটিই ছিল তার টিউশনের জায়গা। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।”
পুলিশ জানায়, প্রেমের টানাপোড়েন থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, “প্রেমের আবেগ মানুষকে কখনো কখনো অমানুষ করে দেয়”—এই ঘটনাই যেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ
.এ.বি.এম