প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার দৌড়ে গুরুত্বপূর্ণ এক লড়াইয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল মিকেল আরতেতার আর্সেনাল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে রোববার রাতে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে গানাররা। এই জয়ে শিরোপার আশা জিইয়ে রাখল তারা, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের শিরোপার লড়াইয়ে বড় ধাক্কা দিল।
শনিবার লিভারপুল বোর্নমাউথকে ২-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও শক্তিশালী করে নেয়, পয়েন্ট টেবিলে ৯ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে। এই অবস্থায় ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানো ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না আর্সেনালের সামনে। কারণ, এক ম্যাচ বেশি খেলা সত্ত্বেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল। এমিরেটসে নিজেদের শক্তিমত্তার দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ উতরে গেল গানাররা।
খেলার মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই নরওয়েজিয়ান মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ডের গোল এনে দেয় স্বাগতিকদের স্বপ্নময় সূচনা। আর্সেনাল প্রথমার্ধজুড়ে আধিপত্য দেখালেও সিটিও পাল্টা আক্রমণের সুযোগ খুঁজছিল। অবশেষে ৫৫ মিনিটে নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড দুর্দান্ত এক গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান।
তবে এই সমতা বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি আর্সেনাল। মাত্র তিন মিনিট পরেই ঘানার মিডফিল্ডার টমাস পার্টি দূরপাল্লার শটে গোল করে ফের এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। এরপর থেকেই আর্সেনালের আক্রমণের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে থাকে পেপ গার্দিওলার দল।
৬২ মিনিটে ১৮ বছর বয়সী প্রতিভাবান ফুটবলার মাইলস লুইস-স্কেলি গোল করে ব্যবধান বাড়ান ৩-১ এ। এরপর ৭৬ মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজ দলের চতুর্থ গোল করেন। অতিরিক্ত সময়ের (৯০+৩ মিনিট) একেবারে শেষ মুহূর্তে ১৭ বছর বয়সী এথান নোয়ানেরি গোল করে চূড়ান্তভাবে সিটিকে বিপর্যস্ত করে দেন, ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-১।
গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। তবে তাতেও আর্সেনালের জয়যাত্রায় কোনো প্রভাব পড়েনি।
এই জয়ের ফলে লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে টানা চার ম্যাচ অপরাজিত থাকল আর্সেনাল। পেপ গার্দিওলার দলও ছয় ম্যাচ পর প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ পেল।
এই জয়ের পর ২৪ ম্যাচে আর্সেনালের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫০ পয়েন্টে, যা তাদের টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৬, তবে তারা এক ম্যাচ কম খেলেছে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি ৪১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
শিরোপার লড়াইয়ে লিভারপুল এখনও এগিয়ে থাকলেও আর্সেনাল তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখল। বাকি মৌসুমে আর কোনো পা হড়কালে শীর্ষস্থান হারাতে হতে পারে লিভারপুলকে। আর্সেনালের সামনে এখন সুযোগ রয়েছে দৌড়ের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এবং প্রতিপক্ষদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার।
এমিরেটসে এই ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে মিকেল আরতেতার দল প্রমাণ করল, তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
লা লিগার শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচেই এখন যুদ্ধ করতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রতিটি…
নিশ্চিতভাবেই ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ফেরার পথে বিশাল এক পদক্ষেপ নিয়েছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের…
বিশ্বজুড়ে যখন ফিলিস্তিন সংকট মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তখন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা জেলা থেকে উঠে এলো…
নিশ্চিতভাবেই ম্যাচের আগে অনুমান করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ রিয়াল মাদ্রিদের…
ফিফা র্যাংকিংয়ের পার্থক্য বিশাল—ভারত ১২৬, বাংলাদেশ ১৮৫। শক্তির বিচারে ফেভারিট ভারত, তাছাড়া খেলা ছিল ভারতেরই…
এক-দুই বছর নয়, পুরো ছয় বছর ধরে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়হীন ব্রাজিল। ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সফল…